এখন চলছে পবিত্র রমজান মাস। এই পবিত্র মাসকে রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতে ভাগ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দশম রমজানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে রহমতের দশদিন। শুরু হলো মাগফেরাতের দশদিন।
এদিকে মাগফেরাত অর্থ মার্জনা, আল্লাহ তা’য়লার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও গুনাহ থেকে নিষ্কৃতি লাভ। এই সময়ে আল্লাহ বান্দাদেরকে বেশি হারে ক্ষমা করে থাকেন। গুনাহ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় মানুষ গুনাহ করে থাকে। এটি খুবই স্বাভাবিক বিষয়।
তবে অস্বাভাবিক বিষয় হলো গুনাহর ওপর অটল থাকা ও আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা না করা। যারা শয়তানের কুপ্ররোচনায় গুনাহ করে এবং তা থেকে ক্ষমা লাভ করতে পারে না তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ হলো মাগফেরাতের দশদিন।
এদিকে মাগফিরাতের এই সময়ে বান্দাগণ অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি ক্ষমা করেন। আল্লাহ হলেন পরম ক্ষমাশীল এবং তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন।
এদিকে পুরো রমজান মাস জুড়েই আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিন বান্দাদের জন্য দোয়া কবুলের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। মহানবী সা. বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ বাদশা, রোজা পালনকারী যতক্ষণ না সে ইফতার করে এবং মজলুম।’ (তিরমিজি, হাদিস, ৩৫৯৮)